যৌন জীবন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
যৌন জীবন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩

পুরুষ বন্ধ্যাত্ব কি? যে কারনে অনেক পুরুষরা বাবা হতে পারতেছেন না । Men's Infertility causes in bangla.

বন্ধ্যাত্ব কি?

কোনো ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়া স্বামী এবং স্ত্রী যদি এক থেকে দেড় বছর সন্তান লাভের আশায় এক সঙ্গে কম বাস করার পর ও সন্তান ধারনে ব্যার্থ হলে তাকে বন্ধ্যাত্ব বলা হয়।

বন্ধ্যাত্ব দুই ধরনের

    প্রাইমারি - যাদের কখনো সন্তান হয়নি।
    সেকেন্ডারী - যাদের আগে গর্ভধারন হয়েছে কিন্ত আর গর্ভধারন হচ্ছে না।

বীর্য বিশ্লেষণ(Semen Analysis)

  • Appearance to seme - বীর্ঘ দেখতে কেমন - whitish to grey সাদাটে থেকে ধূসর রং এর হয়।
  • Semen volume বীর্যের পরিমানঃ বীর্যের পরিমান ২ মিলি বা তার বেশি হবে। যদি এই পরিমানের চেয়ে কম বা বেশি হয় তাহলে বীর্যের মধ্যে শুক্রানুর সংখ্যা বা পরিমান কম বেশি হতে পারে।
  • Semen shape (আকার) - বীর্যের মধ্যে থাকা একেকটি শুক্রানুর মধ্যে ৩টি অংশ থাকে -১। মাথা ২।শরীর ৩। লেজ ৩০% শুক্রানোর শারীরিক গঠনে এবনরমালিটি থাকলে আপনার স্ত্রীর ডিম্বানুর সাথে আপনার শুক্রানোর ফার্টিলাইজেশন বা নিষিক্ত হবেনা এবং সন্তান হবে না
  • sperm count - 20-200 মিলিয়ন শুক্রানু প্রতি মিলি লিটার বীর্যের মধ্যে থাকতে হবে।
  • Motile, Motility, movement - শুক্রানোর নড়া চড়া বা গতি 50% শুক্রানোর মধ্যে স্বাভাবিক নড়া চড়া থাকতে হবে।
  • pH - ল্যাব টেস্ট অনুযায়ী মানুষের বীর্য PH এর মান 7.2 - 7.8 পর্যন্ত স্বাভাবিক যদি 8 এর বেশি থাকে তা হলে তা ইনফেকশন নির্দেশ করে।
  • Viability (কার্যকারিতা): 75% অথবা তার বেশি কার্যকারী হতে হবে।


  • অস্বাভাবিক বীর্য বিশ্লেষণ রিপোর্ট

    • Aspermia: (অ্যাসপার্মিয়া) বীর্যই তৈরী হয়না।
    • Azoospermia: (অ্যাজুস্পার্মিয়া) বীর্য আছে কিন্তু এর মধ্যে শুক্রানু নাই।
    • Oligospermia: (অলিগোস্পার্মিয়া) শুক্রানুর সংখ্যা প্রতি মিলিতে 70 মিনিয়ন এর কম।
    • Asthenozoospermia: (অ্যাস্থেনোজুস্পার্মিয়া) 50% এর কম শুক্রানোর মধ্যে স্বাভাবিক মুভমেন্ট/নড়া চড়া আছে
    • Teratozoospermia: (টেরাটোজোস্পার্মিয়া) 70% এর বেশি শুক্রানুর শারীরিক গঠন অস্বাভাবিক।
    • Necrozoospermia: (নেক্রোজুস্পার্মিয়া) শুক্রানো আছে তবে মৃত।
    • Oligoasthenozoospermia: (ওলিগোঅ্যাস্থেনুজুস্পামিয়া) স্বাভাবিক সংখ্যক শুক্রানুর স্বাভাবিক নড়া চড়া নাই এবং একই সাথে শুক্রানুর সংখ্যা ও কম।
    • Varicocele (ভ্যারিকোসেল) আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় 5-6% রোগীর পুরুষ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।
    • Epididymitis/epididymal cyst: (এপিডিডাইমাইটিস/এপিডিডাইমাল সিস্ট) শুক্রবাহী নালীতে ইনফেকশন বা সিস্ট হলেও পুরুষ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।

    বিস্তারিত

    রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭

    জীবনের প্রথম যৌন মিলন প্রসঙ্গে যা জানা জরুরী

    যৌনতা জড়িয়ে আছে আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে। তাই এই বিষয়ে লজ্জা পাবার কিছু নেই। বিশেষ করে জীবনের প্রথম যৌন মিলন প্রসঙ্গে। আমাদের সমাজে সাধারণত বিয়ের আগে যৌন মিলনকে প্রশ্রয় দেয়া হয় না। আর যেহেতু যৌনতা বিষয়ে বিশেষ কথা বলতে আমরা অভ্যস্ত নই, তাই অনভিজ্ঞতার কারণে বেশিরভাগ নারী-পুরুষেরই প্রথম যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা সুখকর হয় না।

    জেনে রাখুন ৭টি বিষয়, যা জীবনের প্রথম যৌন মিলনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে আপনার।

    ১) যৌন মিলন খুবই স্বাভাবিক একটি শরীরবৃত্তীয় ব্যাপার, এটা নিয়ে ভয় বা সংকোচ করার কিছু নেই। প্রথম যৌন মিলনেই যে আপনার দুর্দান্ত পারফর্মেন্স হবে, এমনটা ভাববেন না। এমনটা আশাও করবেন না। তবে হ্যাঁ, যত নার্ভাস হবেন, যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা তত খারাপ হবে। তাই প্রথম মিলনের আগে অবশ্যই পর্যাপ্ত মানসিক প্রস্তুতি রাখুন।
    ২) প্রথম যৌন মিলনে খুব দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায় অধিকাংশ পুরুষের। এটা নিয়ে ঘাবড়ে যাবেন না। নিজে পুরুষত্বহীন বা দুর্বল ভাববেন না। কয়েক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবার চেষ্টা করুন। আগের চাইতে ভালো ফল পাবেন।

    ৩) প্রথম যৌন মিলনের সময় প্রত্যেক নারীই ব্যথা পাবেন, এই ব্যাপারটির জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখুন। ব্যথা পাবেন, সামান্য রক্তপাত হবে। এই বিষয়টি নিয়ে একদম ঘাবড়ে যাবেন না। পরবর্তীতে একটু জ্বালাপোড়াও করতে পারে। তবে বিষয়টি সাময়িক। কয়েক ঘণ্টার মাঝেই ঠিক হয়ে যাবে। যদি রক্তপাত বন্ধ না হয় বা জ্বালাপোড়া বেশি করে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।

    ৪) পুরুষ সঙ্গী একটু বিশেষ খেয়াল রাখবেন, যদি নারী সঙ্গীরও এটা প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। জোর করে যোনিতে প্রবেশের চেষ্টা করবেন না। কিংবা বল প্রয়োগ করবেন না। খুব আদরের সাথে চেষ্টা করুন। সঙ্গিনীকে পর্যাপ্ত উত্তেজিত করুন, পুরো বিষয়টি সহজ হয়ে আসবে দুজনের জন্যই।

    ৫) প্রথম যৌন মিলনে বেশিরভাগ নারীরই অরগাজম আসবে না, কেননা নারীদের অরগাজমের সাথে অভিজ্ঞতার ব্যাপারটি জড়িয়ে আছে। তাই এটা নিয়ে হতাশ হবেন না।

    ৬) যৌন মিলনের ক্ষেত্রে প্রথম সতর্কতার নাম হচ্ছে গর্ভসঞ্চার রোধ করা। আর এই কাজে সবচাইতে সহায়ক হচ্ছে কনডম। পুরুষেরা অবশ্যই কনডম ব্যবহার করুন। প্রথম যৌন মিলনের ক্ষেত্রে এটাই বেশি উপযোগী। তবে কনডমের ব্যবহার প্রণালি খুব ভালোভাবে জেনে নিন।

    ৭) প্রথম যৌন মিলনেই কেউ গর্ভধারণ করতে চান না। তবে গর্ভ নিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও অনভিজ্ঞতার কারণে ভুল হয়ে যেতে পারে। যেমন সঠিক সময়ে কনডম ব্যবহার করতে না পারা, কনডমে ফুটো হয়ে যাওয়া বা ছিঁড়ে যাওয়া ইত্যাদি। এমন ঘটনা ঘটে গেলে সাহায্য নিতে হবে জরুরী গর্ভনিরোধক পিলের। আইপিল বা সমমানের যে কোন ওষুধ কাজে আসবে। খুব ভালো হয় ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিলে।
    বিস্তারিত

    মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

    যৌন জীবনে পূর্ণাঙ্গ তৃপ্তির বৈজ্ঞানিক কিছু উপায়

    যৌন জীবনে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের অসুখী হওয়ার হার অনেক বেশি। এমনকি নিজের ভালোবাসার পুরুষটির সঙ্গেও যৌন জীবন নিয়ে খুশী নন অনেক মহিলাই। মুখে প্রকাশ না করলেও মনের মধ্যে ক্ষোভ নিয়ে জীবন যাপন করেন, মুখ ফুটে অনেকে বলতে পারেন না যৌন জীবনে নিজের অসুবিধার কথা। কিন্তু এরকম কেন? কেন অনেক নারী যৌন জীবনে অসুখী ও অতৃপ্ত? ভুল ধারণা এবং অজ্ঞতা যৌন জীবনে অসুখী রয়ে যাওয়ার মূল কারণ। সঙ্গে পর্যাপ্ত যৌন শিক্ষার অভাব। যৌনতা যে কেবল সন্তান উৎপাদনের মাধ্যম নয়। ভিডিও দেখুন -
    নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্য একটি আনন্দের ব্যাপার। এই বিষয়টি সম্পর্কে আজও অজ্ঞ প্রচুর নারী। কী করতে হবে কিংবা কীভাবে করলে আরও আনন্দময় হয়ে উঠবে যৌন মিলন। সেটা জানা নেই বলে তারা রয়ে যান অসুখী ও অতৃপ্ত।

    ১. নিজেকে বুঝতে না পারা আসলে কী চাইছেন? তার শরীর কোন ডাকে কীভাবে সাড়া দিচ্ছে। কোন অঙ্গগুলো যৌনতার ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর কিংবা নিজের শরীরের চাহিদাগুলো কী কী ইত্যাদি বিষয়ে অজ্ঞতা এবং বুঝতে না পারাও যৌন জীবনে অসুখী হবার একটি বড় কারণ।

    ২. কি চাই সেটা বলতে না পারা নিজের চাহিদাও জানেন, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছেন না নিজের ভালো লাগা না লাগার কথা। নারীদের যৌন জীবনে অতৃপ্ত থাকার অন্তরালে এটা একটি বিশেষ কারণ। এমনকি তিনি যে যৌন জীবনে সুখী নন এটাও পুরুষ সঙ্গীকে মুখ ফুটে বলতে পারেন না অনেক নারী।

    ৩. লজ্জা এবং সংকোচ অনেক নারী মনে করেন যে মেয়েদের যৌনতার কথা বলতে নেই, কিংবা মেয়েদের যৌনতার বিষয়টি নিয়ে কথা বলা কিংবা যৌন চাহিদা প্রদর্শন করার বিষয়টি খুবই লজ্জার। তাই মনের ইচ্ছা মনে চেপে রাখেন তারা।
    ৪. পুরুষ সঙ্গীর স্বার্থপরতা বেশির ভাগ পুরুষ নিজের সঙ্গিনীর যৌন চাহিদা পূরণের ব্যাপারে মনযোগী নন। বরং নিজের চাহিদা মিটে গেলে তারা স্বার্থপরের মত আচরণ করতে শুরু করেন. এটা নারীদের অতৃপ্ত থাকার একটি বড় কারণ।

    ৫. শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা নিয়ে সংকোচ যৌনতায় আগ্রহ নেই কিংবা যৌনতা ঘিরে কোনো শারীরিক সমস্যা বোধ করছেন। এমন অবস্থায় ডাক্তারের কাছে যান না অধিকাংশ নারী। ফলে সামান্য একটু চিকিৎসার অভাবে তাদের যৌন জীবন রয়ে যায় বিভীষিকাময়।

    ৬. যৌনতা ঘিরে ভয় অনেক নারীর মাঝে যৌনতা বিষয়ে নানান রকমের ভীতি কাজ করে. ফলে এই বিষয়টি সম্পর্কে তারা কখনও সহজ মনোভাব পোষণ করতে পারেন না। চিরকাল বিষয়টি নিয়ে আড়ষ্টতা রয়ে যায়।
    বিস্তারিত

    বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০১৫

    বিয়ের পর নব দম্পতিদের যে কথাগুলো মেনে চলা উচিত

    তরুণ দম্পতিরা বয়সের কারণেই অনেক বেশি উচ্ছল হয়ে থাকেন, জীবনটাকে উপভোগও করতে পারেন বেশি। কেননা পরস্পরের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারেন তারা।আবার বয়স কম হবার কারণে জীবনের অনেক কিছুই খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিতে পারেন। তবে হ্যাঁ, কমবয়সী দম্পতিদের ক্ষেত্রে কিছু ব্যাপার মনে রাখা খুবই জরুরি। কিছু ভুল করার কারণে জীবনের নানান পর্যায়ে সম্পর্ক নিয়ে চলে টানাপোড়ন।
    বিস্তারিত

    রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫

    বিবাহিত জীবনের যে নিয়মগুলো মেনে না চলাই ভালো!

    দাম্পত্য মানেই হরেক রকমের নিয়ম। এটা করা যাবে না, সেটা করা যাবে না কিংবা এটা-ওটা অবশ্যই করতে হবে- যুগে যুগে কালে কালে দাম্পত্য বিষয়ে এমন অসংখ্য নিয়মের কথা আমরা শুনে এসেছি এবং বলাই বাহুল্য যে পালনও করে যাচ্ছি। কিন্তু আসল ব্যাপারটা কি কেউ জানি? যেমন ধরুন, ঝগড়া করে নাকি আলাদা ঘুমানো ভালো নয়। কী হবে, যদি মাঝে মাঝে ঝগড়া করে আলাদাই ঘুমিয়ে যান? কিংবা কী হবে যদি সঙ্গীর কাছ থেকে কিছু কথা গোপনই রাখেন? জেনে নিন দাম্পত্যের এমন ১০টি নিয়মের কথা যেগুলো মাঝে মাঝে ভঙ্গ করা আসলে সম্পর্কের জন্যই ভালো। এতে সম্পর্কে থ্রিল আর রোমান্স, দুটোই বজায় থাকে অনেকদিন।
    বিবাহিত জীবনের যে নিয়মগুলো মেনে না চলাই ভালো!
    নিয়ম ১:- কখনোই রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না কথাটির অর্থ হলো দাম্পত্যে বেশিক্ষণ রাগ করে থাকবেন না। তবে সত্য বলতে কি, মাঝে মাঝে একটুখানি রাগের প্রকাশ ভালো। তাতে সঙ্গী বোঝেন যে কোন ব্যাপারগুলো আপনার খারাপ লাগে। রাগ করে ঘুমিয়ে যাওয়াটাও খারাপ নয়। এতে বরং রাগ প্রশমিত হয়, দুজনেই মাথা ঠাণ্ডা করার সুযোগ পান এবং সকালে সব ঠিক হয়ে যায়।

    নিয়ম ২:- সন্তানকে সর্বদাই প্রথমে রাখুন সন্তান খুবই গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহ নেই। কিন্তু সবার আগে নিজেদের দাম্পত্যকেই রাখুন। আপনাদের সম্পর্ক ভালো থাকলে তবেই সন্তান সুখে থাকবে। 

    নিয়ম ৩:- যৌন মিলনই সম্পর্ক রক্ষার প্রথম অস্ত্র সম্পর্ক মানে কেবলই যৌন মিলন নয় কিংবা ইচ্ছা না হলেও সঙ্গীকে খুশি করার জন্য যৌন মিলন >>> করতে হবে এমন কোন আইন নেই। সম্পর্কটিকে এমন করে তুলুন যেন মনের মিলনতাই আসল হয় এবং যৌন আকর্ষণ ধরে রাখার জন্য যা যা করতে হয় করুন। 

    নিয়ম-৪:- পরস্পরের শখগুলোকে আপন করে করতে হবে এটা মোটেও কোন কাজের নিয়ম নয়। হ্যাঁ, দুজনের শখে মিল থাকা ভালো। কিন্তু সবকিছুই যদি একিই রকম হয় তাহলে খুব দ্রুত বৈচিত্র্য হারাবে জীবন। 

    নিয়ম-৫:- রাগ করে কখনো পরস্পরকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না না, খুব বেশী দূরত্বে কখনো যাবেন না। তবে মাঝে মাঝে একটু টক-মিষ্টি রাগারাগি কিন্তু বেশ ভালো জিনিস। দূরে গেলে তবেই না কাছে আসার আনন্দ পাওয়া যায়? 

    নিয়ম-৬:- ঝগড়া করা চলবে না মোটেও ঝগড়ার অর্থ এই নয় যে আপনাদের সম্পর্ক খারাপ বা আপনারা কেউ কাউকে ভালোবাসেন না। বরং মাঝে মাঝে ঝগড়া মন পরিষ্কার করতে ও ভালোবাসা বাড়াতে সাহায্য করে। 

    নিয়ম-৭:- সর্বদা সৎ থাকতে হবে না, সর্বদা সব কথাই যে জীবনসঙ্গীকে বলে দিতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। কিছু কথা না বলাই ভালো, বিশেষ করে এমন কিছু যেটা জানলে তিনি মনে কষ্ট পেতে পারেন। 

    নিয়ম-৮:- দাম্পত্য খুবই সিরিয়াস একটি বিষয় দাম্পত্য সারাজীবনের একটি বিষয়। হ্যাঁ, এটি অবশ্যই সিরিয়াস। কিন্তু তাই বলে সারাক্ষণ গুরুগম্ভীর আচরণ করতে হবে এমন কোন কথা নেই। দাম্পত্যে যত হাসি-আনন্দ থাকবে, সম্পর্ক হবে ততই সুখের। 

    নিয়ম-৯:- পরস্পরকে ছাড়া আনন্দ করবেন না একবার ভাবুন তো, রোজ রোজ একই খাবার খেতে বা একই পোশাক পড়তে আপনার ভালো লাগবে? তাহলে রোজ রোজ একই মানুষের সাথে সময় কাটাতেই বা ভালো লাগবে কেন? সঙ্গীকে অবশ্যই গুরুত্ব দেবেন, কিন্তু তাঁকে সুযোগ দিন আপনাকে ছাড়াও নিজের আপনজনদের সাথে আনন্দ করার। এবং নিজেই একই কাজ করুন। 

    নিয়ম-১০:- কখনো আলাদা বিছানায় ঘুমাবেন না আলাদা বিছানায় ঘুমালেই যে দাম্পত্য শেষ, বিষয়টি এমন নয়। শারীরিক অসুস্থতা থেকে শুরু করে অনেক বিষয়েই দম্পতিরা আলাদা ঘুমাতে পারেন। ভালোবাসা থাকলে আসলে সব ঠিক।
    বিস্তারিত

    বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৫

    বিয়ের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি মনে রাখা জরুরি

    বলা হয়, বিয়ের বিষয়টি স্বর্গীয় এবং সেখানেই এর ফয়সালা ঘটে। এ কারণে বিয়ে নিয়ে মানুষের এত জল্পনা-কল্পনা, আনন্দ আর উত্তেজনা। কিন্তু গোটা বিশ্বে বিবাহ বিচ্ছেদের হার আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কাজেই এত আয়োজন কি সব নিরর্থক? বিশেষজ্ঞের মতে, কিছু ভুল কারণের ওপর ভিত্তি করে মানুষ বিয়ে করেন। বিয়ের পর এসব কারণের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় না। তখনই দাম্পত্য জীবন মানুষকে নিরাশ করে। আর তাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। এখানে জেনে নিন, বিয়ে সম্পর্কে ১০টি ধারণার কথা যা আসলে ভুল চিন্তার সামিল।

    ১. আপনি হয়তো একাকী মানুষ যিনি পেশাজীবন নিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটান। অনেকে মনে করেন, এই একঘেয়েমি অবস্থার অবসান ঘটবে যখন একজন সঙ্গী বা সঙ্গিনী পাওয়া যাবে। মূলত এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে বিয়ে করা হয়। বিয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এটি নয়। 
    বিয়ের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি মনে রাখা জরুরি
    ২. কারো সঙ্গে ডেটিং দেওয়া মানেই তাকে বিয়ে করা কোনো নিয়মের মধ্যে পড়ে না। তাকে যদি ভালো নাই বাসেন, শুধু সময় কাটাতে ডেটিং দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে বিয়ে করাটা বড় ধরনের ভুল। তাকে জীবনের আদর্শ সঙ্গী-সঙ্গিনী মনে না করা পর্যন্ত বিয়ে করা উচিত নয়। 

    ৩. অনেকেই মনে করেন, বয়স হয়ে যাচ্ছে দেখে বিয়ে করে ফেলা উচিত। এটা বিয়ের একমাত্র কারণ হতে পারে না। অন্যান্য বিষয় যখন আসে, তখন সব পাল্টে যায়। 

    ৪. দৈহিক সৌন্দর্য মুগ্ধ হয়ে বিয়ের ইচ্ছা অন্যতম ভুলের একটি। বিয়েটা কোনো মোহ নয়। শুধু মোহাচ্ছন্ন হয়ে বিয়ে করলে পরবর্তীতে মোহ কেটে যাওয়ার পর সংসারে বিতৃষ্ণা চলে আসতে পারে। 

    ৫. একটা সময় পর্যন্ত মানুষ একাকী থাকতে পারে। এরপর একা থাকাটা অসহনীয় হয়ে ওঠে। তখন মনে হয়, যাকে পাওয়া যাবে তাকেই বিয়ে করে ফেলতে হবে। এই উদ্দেশ্যে বিয়ে করলে শিগগিরই অস্থিরতা ভর করবে। 

    ৬. অনেকেই অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যে বিয়েকে উপায় হিসাবে গ্রহণ করেন। ধনী পুরুষ বা সম্পদশালীর মেয়েকে বিয়ে করতে চান অনেকে। এখানে অর্থটাই মুখ্য থাকে। বিয়ে, আত্মিক বন্ধন, সংসার এগুলো হয়ে পড়ে মূল্যহীন। তাই এই কারণটি বিয়ের শর্ত হতে পারেন না। 

    ৭. সম্পর্কে জড়ানোর পর একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করেন। দুজনের চাওয়া-পাওয়ার সমন্বয় হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। কিন্তু একটা সময় আসতে পারে যখন মনে হবে যে, দুজন আসলে দুজনের জন্যে নন। তখন সরে আসাটাই বুদ্ধিমানে লক্ষণ। কিন্তু অনেকেই মানসিক টানাপড়েনে ভোগেন। ভাবেন, যেহেতু প্রেম করেছি, কাজেই মন না চাইলেও বিয়ে করতেই হবে। এতে করে ওই বিয়েটা স্বপ্নহীন হয়ে পড়ে। 

    ৮. সব বন্ধুই বিয়ে করে ফেলছেন। কাজেই ইচ্ছা না করলেও আপনার করতে হচ্ছে। এ ধরনের চাপ পরিবার ও বন্ধুমহল থেকে আসে। সব বিবাহিত বন্ধুদের মাঝে ব্যাচেলর হয়ে থাকা কিছুটা অস্বস্তিকর হতে পারে। কিন্তু তাদের সঙ্গে খাপা খাওয়ানোর জন্যে বিয়ে করা অর্থহীন। 

    ৯. বিয়ে না করতে চাইলেও বাবা-মায়ের চাপে বিয়ে করার কোনো অর্থ থাকে না। অভিভাবক চাইছেন বলেই বিয়ে করেছেন। সংসারধর্ম পালনের স্বপ্ন আপনি দেখেননি। সে ক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবন কখনো টেকে না। 

    ১০. আরেকটি বিষয় মনে কাজ করে। তা হলো, একজন সঙ্গী বা সঙ্গিনী থাকলে সে আপনার দেখভাল করতে পারবে। নিজের যত্নআত্তির জন্যে যদি বিয়ে করেন, তবে আপনি স্বামী বা স্ত্রীকে স্রেফ সেবক-সেবিকার স্থানে রেখেছেন। বিয়ের বন্ধন এই উদ্দেশ্য সৃষ্টি হয়নি।
    বিস্তারিত